একদিন বিকেলে, শুভ্র তার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল ছুটিতে। গ্রামের বাড়ির পাশেই একটি পুরোনো বটগাছ ছিল। সেই গাছটি সম্পর্কে প্রচলিত ছিল যে, সেখানে রাতে কেউ গেলে ফিরে আসে না। শুভ্র ছোটবেলা থেকেই সাহসী ছিল, তাই এসব কুসংস্কার বিশ্বাস করত না।
রাতে, সে বটগাছের পাশে বসে বাতাসের শব্দ শুনছিল। হঠাৎ তার মনে হল, কেউ যেন তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। সে ফিরে তাকিয়ে কিছু দেখতে পেল না। একটু অস্বস্তি হলেও সে গাছের নিচে বসেই রইল। কয়েক মিনিট পরে আবার একটা অদ্ভুত শব্দ শুনল। এবার তার সামনে একটা ছায়ামূর্তি দেখা গেল।
মূর্তিটি ধীরে ধীরে কাছে আসছিল। শুভ্র ভয়ে জমে গেল, কিন্তু কিছুই বলতে পারল না। মূর্তিটি কাছে এসে বলল, "তুমি এখানে কেন এসেছ?"
শুভ্র কোনোমতে বলল, "আমি শুধু দেখতে এসেছিলাম, তোমার গল্পটা সত্যি কিনা।"
মূর্তিটি মৃদু হেসে বলল, "সত্যি না, মিথ্যে সেটা তুমি কাল সকালেই বুঝতে পারবে।"
এরপর, মূর্তিটি ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে গেল। শুভ্র ভয়ে রাতে আর ঘুমাতে পারেনি। সকালে উঠে সে আবার বটগাছের দিকে গেল, কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না। তবে সেই ঘটনার পর থেকে শুভ্র আর কখনো রাতে সেই বটগাছের কাছে যায়নি।
গল্পের শিক্ষা:
আমরা যা দেখতে পাই না, তা সবসময় মিথ্যা নয়। কিছু রহস্য এমনই থাকে, যা চোখের আড়ালে কিন্তু মনকে আলোড়িত করে।
আপনি যদি অন্য ধরনের ভূতের গল্প পড়তে বা শেয়ার করতে চান, জানাবেন।